নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট পাবলিক লাইব্রেরী দুই দশক পূর্তিতে পূনমিলনী অনুষ্ঠানের লাইব্রেরী পরিচালনা কমিটির দুই গ্রুপের দ্বান্দ্বে সংর্ঘষের আশংকা করেছে স্থানীয়রা।এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখান নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে এই নির্দেশনা দেন। পুলিশ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি পক্ষ কৌশল পরির্বতন করে বঙ্গবন্ধুর জম্ম শতবার্ষিকী পালন করার নাম ভাঙ্গিয়ে অনুষ্ঠান করার জন্য আবারে পায়তারা করছেন অথচ অনুষ্ঠানের দাওয়াতের কার্ডে লিখা বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে পূনমিলনী অনুষ্ঠান।

এতে স্থানীয়রা চরম ক্ষোপ প্রকাশ করে বলেন, যদি অনুষ্ঠান হয় তাহলে আরো সংঘর্ষের বেশি আশংকা রয়েছে। পুলিশের বন্ধের সিদ্বান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

এই বিষয়ে তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ আহসান উল্লাহ বলেন, অনুষ্ঠানে যখন দুই গ্রুপ রয়েছে সেখানে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না। আইনশৃখলা অবনতি হবে এমন অনুষ্ঠান হতে দিবো না।

উল্লেখ্য ঃ সাদিপুরে পঞ্চমীঘাট পাবলিক লাইব্রেরি দুইদশক পূর্তিতে পূনমিলনী অনুষ্ঠানের পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনা কমিটির দুই গ্রুপের দ্বান্দ্বে সংর্ঘষের আশংকায় অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে পরিচালনা কমিটির একাধীক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনারগাঁ থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে স্থানীয়দের দাবী এ অনুষ্ঠান দ্রুত বন্ধ করে দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব সমাধান না করলে সংর্ঘষে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুক্রবার দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট পাবলিক লাইব্রেরিতে বিএনপি, জামাতের অনেক সদস্য অন্তরভূক্ত রয়েছে। ঐসব সদস্যদের নিয়ে পাবলিক লাইব্রেরিতে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এতে বিএনপি ও জামাতের কিছু কর্মীরা পঞ্চমীঘাট পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য হয়ে সরকার বিরোধী কর্মকান্ড সহজে পরিচালনা করতে পারেন বলে জানাযায়। ঐসব সদস্যদের অন্তরভুক্ত করাসহ নানা ধরনের সমস্যার কারনে দুইটি গ্রুপে সৃষ্টি হয়। এতে দুইটি গ্রুপের মধ্যে র্দীঘদিন ধরে দন্ধ চলছে। দন্ধের মধ্যেই একটি পক্ষ আরেকটি পক্ষকে বাদ দিয়ে লাইব্রেরির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে। এ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েক জন সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম ও থানার ওসি রফিকুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয়েকজন কার্যকরী পরিষদের সদস্য নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে অনেক সদস্যদের বাদ দিয়ে বিএনপি ও জামাতের সদস্যদের নিয়ে কি ভাবে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে। আমরা দ্রুত অনুষ্ঠান বন্ধের দাবী জানাই।